এই ভিডিওতে কপিরাইট সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে:
Copyright Permissions - Copyright on YouTube
কপিরাইট সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্ন
ন্যায্য ব্যবহার কী?ন্যায্য ব্যবহার হল একটি আইনি তত্ত্ব যা আপনাকে বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে কপিরাইটের মালিকের কোনও অনুমতি ছাড়াই তার কপিরাইট-সুরক্ষিত কন্টেন্ট আবার ব্যবহার করতে দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন কন্টেন্ট ন্যায্য ব্যবহার হিসেবে বিবেচনা করা হবে তা শুধু আদালতই স্থির করে।
প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে কোনও আদালত এগুলি সহ চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ন্যায্য ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেয়:
- ব্যবহারের উদ্দেশ্য ও ধরন
- কপিরাইটযুক্ত কাজের প্রকৃতি
- কতটা কপিরাইটযুক্ত কাজ ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটির গুরুত্ব
- কপিরাইটযুক্ত কাজের মূল্য অথবা সম্ভাব্য মার্কেটের উপর সেটির প্রভাব
ন্যায্য ব্যবহার সংক্রান্ত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন থেকে আরও জানুন।
কপিরাইট-সুরক্ষিত কাজের ক্ষেত্রে কপিরাইটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেটি "সর্বজনীন ডোমেন"-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং কাজটি তখন সবাই কোনও চার্জ ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত, কোনও কাজ অনেক বছর পরে সর্বজনীন ডোমেনের অংশ হয়।
কপিরাইট সুরক্ষার মেয়াদ এগুলির মতো বিষয়ের উপর নির্ভর করে:
- কোথায় ও কবে সেই কাজ প্রকাশ করা হয়েছিল
- 'ওয়ার্ক ফর হায়ার' হিসেবে কাজটির বরাত দেওয়া হয়েছিল কিনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারি সংস্থার কিছু কাজ প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই সর্বজনীন ডোমেনে চলে আসে। এটি মনে রাখবেন যে বিভিন্ন দেশে সর্বজনীন ডোমেন সংক্রান্ত আইন আলাদা হয়।
YouTube-এ কোনও কাজ আপলোড করার আগে সেটি সর্বজনীন ডোমেনে আছে কিনা তা চেক করা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সর্বজনীন ডোমেনে আছে এমন কাজের কোনও অফিসিয়াল তালিকা নেই। তবে, কিছু অনলাইন রিসোর্স আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারে। যেমন, কর্নেল ইউনিভার্সিটি সর্বজনীন ডোমেনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এমন কাজের নির্দেশিকা প্রদান করে। মনে রাখবেন, কোনও কাজ যে আর কপিরাইটের অধীনে নেই তা YouTube সহ উপরে উল্লিখিত সংস্থাগুলির মতো কোনও প্রতিষ্ঠানই গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারে না।
কারও অরিজিনাল কন্টেন্টের উপর নির্ভর করে কোনও কাজ করতে হলে সেটির কপিরাইটের মালিকের থেকে আপনাকে অনুমতি নিতে হয়। ফ্যান ফিকশন, সিকোয়েল, অনুবাদ, স্পিন-অফ, অ্যাডাপ্টেশন ইত্যাদি অমৌলিক কাজের মধ্যে পড়ে। কপিরাইট-সুরক্ষিত কন্টেন্টের চরিত্র, গল্পের রূপরেখা বা অন্যান্য উপাদানের উপর নির্ভর করে তৈরি কোনও ভিডিও আপলোড করার আগে বিশেষজ্ঞের থেকে আইনি উপদেশ নেওয়ার চেষ্টা করুন।
Your Europe ওয়েবসাইট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ/অঞ্চলগুলির কপিরাইট সংক্রান্ত উপযোগী তথ্য ও লিঙ্ক পাবেন।
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (WIPO)-তে আন্তর্জাতিক মেধা সম্পত্তি ও কপিরাইট অফিসের একটি তালিকা আছে, এখান থেকে আপনার এলাকার কপিরাইট আইন সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
উপরে উল্লিখিত ওয়েবসাইটগুলি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্য নিয়ে শেয়ার করা হয়েছে এবং YouTube এগুলি এন্ডোর্স করে না।
YouTube-এ ভিডিও আপলোড করার ব্যাপারে প্রশ্ন
আমি কীভাবে আমার ভিডিওতে অন্য কারও কন্টেন্ট ব্যবহার করার অনুমতি পেতে পারি?আপনার ভিডিওতে কপিরাইট-সুরক্ষিত কন্টেন্ট যোগ করার কথা ভাবলে, আপনাকে সাধারণত প্রথমে অনুমতি নিতে হবে। YouTube আপনাকে এই অধিকার দিতে পারবে না এবং যে আপনাকে এই অধিকার দিতে পারে YouTube তাকে খোঁজার কাজে সাহায্য করতে পারবে না। আপনাকে রিসার্চ থেকে শুরু করে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিজে করতে হবে অথবা কোনও উকিলের সাহায্য নিতে হবে।
যেমন, সাইটে আগেই আপলোড করা হয়েছে এমন কন্টেন্ট ব্যবহার করার অধিকার YouTube আপনাকে দিতে পারবে না। আপনি অন্য কারও YouTube ভিডিও ব্যবহার করতে চাইলে, সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করার কথা ভেবে দেখতে পারেন। কিছু ক্রিয়েটর তাদের চ্যানেল-এ যোগাযোগ করার বিভিন্ন উপায় তালিকাভুক্ত করে রাখেন।
আপনি YouTube-এর অডিও লাইব্রেরি থেকে আপনার YouTube ভিডিওর জন্য সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বা সাউন্ড এফেক্ট খুঁজে পাবেন। আপনি কোনও চার্জ ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন এমন মিউজিক সেখানে সার্চ করে দেখতে পারেন।
আপনার ভিডিওতে অন্য কারও মিউজিক ব্যবহার করার কথা ভাবলে, সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিকল্প সম্পর্কে আরও জানুন:
YouTube-এ ভিডিও আপলোড করার আগে সেটির সব এলিমেন্ট আপনার অধিকারভুক্ত হতে হবে। মিউজিক (শুধু ব্যাকগ্রাউন্ডে চললেও), ভিডিও ক্লিপ, ফটো ইত্যাদি এর মধ্যে পড়ে।
প্রথমে, কপিরাইটের মালিক বা অধিকার ধারকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন এবং কন্টেন্ট ব্যবহার করার উপযুক্ত লাইসেন্স নিয়ে মধ্যস্থতা করুন।
তারপরে, লাইসেন্স চেক করুন। কন্টেন্ট ব্যবহার করার জন্য স্পষ্ট অনুমতি ও সেটির ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা লাইসেন্সে উল্লেখ করা থাকে। লাইসেন্সের জন্য চুক্তিতে কোন অধিকার দেওয়া হয়েছে ও কোনটি দেওয়া হয়নি সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আইনি পরামর্শ নিন।
এছাড়াও, আপনি কোনও চার্জ ছাড়াই YouTube-এর মিউজিক ও সাউন্ড এফেক্টের লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি উল্লিখিত শর্তাবলী মেনে ভিডিওতে ব্যবহার করা যাবে।
মনে রাখবেন: আপনি কোনও কভার গান গাইলে বা বাজালে, সেটির কপিরাইট মালিকের (অর্থাৎ, গানের লেখক বা মিউজিক প্রকাশক) থেকে অনুমতি নিতে ভুলবেন না। আসল সাউন্ড রেকর্ডিং আবার প্রোডিউস করতে, ভিডিওতে গানটি যোগ করতে বা গানের কথা দেখাতে আপনাকে অতিরিক্ত লাইসেন্স নিতে হতে পারে।
আপনার ভিডিওতে কপিরাইট-সুরক্ষিত কন্টেন্ট ব্যবহার করার অধিকার থাকলে, আসল কপিরাইট মালিকের কাছে ভিডিওর শীর্ষক ও URL পাঠিয়ে দিন। এই ধাপ নিলে ভুল করে কিছু সরিয়ে দেওয়া বা ব্লক করার সমস্যা হবে না।
আপনার ভিডিও কপিরাইট লঙ্ঘনের কারণে ভুল করে সরিয়ে দেওয়া হলে, আপনি এগুলি করতে পারেন:
- দাবিদারের কাছে প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা
- জবাবি বিজ্ঞপ্তি জমা দেওয়া
Content ID সংক্রান্ত দাবির ফলে ভুল করে আপনার ভিডিও ব্লক করে দেওয়া হলে:
- আপনি সেটির বিরোধিতা করতে পারেন
তবে, বিরোধ বা জবাবি বিজ্ঞপ্তি জমা দেওয়ার আগে প্রথমে নিজেকে কতগুলি প্রশ্ন করুন:
- ভিডিওতে যে কন্টেন্ট আছে সেটির কপিরাইটের মালিক কি আপনিই?
- আপনার ভিডিওর সব থার্ড-পার্টি কন্টেন্ট ব্যবহার করার জন্য আপনি কি সংশ্লিষ্ট কপিরাইটের মালিকদের থেকে অনুমতি নিয়েছেন?
- উপযুক্ত কপিরাইট আইনের অধীনে আপনার ভিডিও কি ন্যায্য ব্যবহার, ন্যায্য লেনদেন বা অনুরূপ ব্যতিক্রমের দ্বারা সুরক্ষিত?
উপরে উল্লিখিত কোনও শর্ত আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে, আপনি বিরোধের সবচেয়ে উপযুক্ত প্রক্রিয়া কী হতে পারে তা খুঁজে দেখতে পারেন অথবা অ্যাটর্নির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রযোজ্য না হলে, আপনি হয়ত কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করেছেন।
আপনি কোনও কন্টেন্ট কিনেছেন মানেই সেটি YouTube-এ আপলোড করার আপনার অধিকার আছে তা নয়। আপনি কপিরাইটের মালিককে স্বীকৃতি দিলেও, আপনার কেনা কন্টেন্ট সহ ভিডিও পোস্ট করার ফলে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হতে পারে।
এছাড়াও, আপনি নিজে কিছু রেকর্ড করেছেন মানেই সেটি YouTube-এ আপলোড করার সব অধিকার আপনার আছে তা নয়। ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে এমন কপিরাইটযুক্ত মিউজিকের মতো অন্য কারও কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্ট আপনার রেকর্ডিংয়ে থাকলে, আপনাকে সংশ্লিষ্ট কপিরাইটের মালিকের থেকে অনুমতি নিতে হবে।